এনএনএইচপি এন্ড আইএমসিআই প্রোগ্রাম এর পক্ষ থেকে স্বাগতম
বাংলাদেশ পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে এমডিজি-৪ এর লক্ষ্য পূরণে দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জন করেছে। ১৯৯০ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্মগ্রহণকারী শিশুর মধ্যে, পাঁচ বছরের কমবয়েসী শিশুর মৃত্যহার ছিলো ১৩৩ জন যা ২০১৭ সালে কমে দাঁড়ায় প্রতি হাজারে ৪৫ জনে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় যে অর্জন হয়েছে সেটাকে আরো এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (SDG) যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে নবজাতকের মৃত্যুহার প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ন্যূনতম ১২ জনে এবং পাঁচ বছরের কমবয়েসী শিশুর মৃত্যহার প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ২৫ জনে কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব ঘোষিত “নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের বৈশ্বিক কৌশল “(Global Strategy for Women’s and Children’s Health)” এবং তার সাথে স¤পর্কিত “প্রতিটি নারী, প্রতিটি শিশু (Every Women Every Child)” উদ্যোগে বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষর করেছে। শিশুদের বেঁচে থাকার হার বাড়ানোর জন্যও বাংলাদেশ তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশের নবজাতক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আপডেট
বাংলাদেশের নবজাতক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আপডেট
গত দুই দশকে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশু মৃত্যুহার ৬৫ শতাংশ কমে এসেছে। জীবিত জন্মগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে বাংলাদেশ জনতাত্তি¡ক স্বাস্থ্য জরিপ ১৯৯৩-৯৪ এর রিপোর্ট অনুযায়ী শিশু মৃত্যুহার ছিল ১৩৩, জনতাত্তি¡ক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-২০১৮ এর রিপোর্ট অনুযায়ী তা কমে এসেছে ৪৫ জনে। বাংলাদেশ যথাসময়েই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ অর্জন করেছে। এই সময়কালে শিশু মৃত্যুর তুলনায় নবজাতকের মৃত্যুহার কমেছে অনেকটাই শ্লথ গতিতে। নবজাতকের মৃত্যুহার ১৯৯৩-৯৪ সালে ছিল মোট শিশু মৃত্যুর ৩৯ শতাংশ এবং ২০১৭-১৮ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ৬৭ শতাংশ । নবজাতকের মৃত্যু শতকরা ৭৫ শতাংশই ঘটে জন্মের প্রথম সপ্তাহে। “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)” ৩.২ অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে শিশু মৃত্যুহার ৪৪ শতাংশ এবং নবজাতকের মৃত্যুহার ৬০ শতাংশ কমাতে হবে।
বাংলাদেশের শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আপডেট
বাংলাদেশের শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আপডেট
বাংলাদেশ জনতাত্তি¡ক স্বাস্থ্য জরিপ (BDHS) ২০১৭-১৮ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৫ বছরের কমবয়সি শিশু মৃত্যুর প্রধান ৫টি কারণ ছিলঃ নিউমোনিয়া (১৮.০ শতাংশ), প্রসবকালীন সময়ে শ্বাসরোধ (Birth asphyxia) (১৬ .০ শতাংশ), অপরিণত জন্ম ও কম জন্মওজন (Prematurity & LBW) (১৩.০ শতাংশ) , সম্ভাব্য জটিল সংক্রমণ (৯.০ শতাংশ)এবং পানিতে ডুবে যাওয়া (৯.০ শতাংশ)।সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা, অত্যাবশ্যক সেবাসমূহ, ঔষধ এবং টিকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য শিশু মৃত্যুর অবসান এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের সুনাগরিকে রূপান্তরের লক্ষ্যে এনএনএইচপি এন্ড আইএমসআিই প্রোগ্রাম কাজ করে যাচ্ছে।
নবজাতক মৃত্যুহার
৩০
প্রতি হাজার জীবিত জন্মে
শিশু মৃত্যুহার
৪৫
প্রতি হাজার জীবিত জন্মে
মাতৃ মৃত্যুহার
১৭৬
প্রতি লক্ষ্য জীবিত জন্মে