৩৩৩

জাতীয় কল সেন্টার

১৬২৬৩

স্বাস্থ্য বাতায়ন

১০৯

জাতীয় হেল্পলাইন

০৯৬১১৬৭৭৭৭৭

বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন

জিজ্ঞাসা 

নবজাতক কাকে বলা হয়?

জন্মের পর থেকে ২৮দিন বয়স পর্যন্ত শিশুকে নবজাতক বলা হয়।

নবজাতকের মৃত্যুর প্রধান কারণ সমূহ কি কি?
  • অপরিণত জন্মজনিত জটিলতা ও কম জন্ম-ওজনের শিশু
  • জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা
  • মারাত্মক সংক্রমণ (সেপসিস) ইত্যাদি
গর্ভকালীন সেবা বলতে কি বুঝায়?

 গর্ভকালীন সময়ে মায়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং নিরাপদ প্রসব ও নবজাতকের জন্য যে নিয়মিত সেবা প্রদান করা হয় তাকে গর্ভকালীন সেবা বলা হয়।

গর্ভকালীন সেবার প্রয়োজনীয়তা কি কি?
  • নিয়মিত সেবা নিলে মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ থাকে
  • মায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে পরামর্শ ও চিকিৎসা পাওয়া যায়
  • সময়মত টিটি টিকা ও আয়রণ, ফলিক এসিড বড়ি গ্রহন করা যায়
  • প্রসব পরিকল্পনা করা সহজ হয়
  • জটিলতা ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভ চিহ্নিত করে প্রয়োজনে রেফার করা নিশ্চিত করা যায়
কোথায় গর্ভকালীন সেবা পাওয়া যাবে?
  • উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
  • জেলা সদর/হাসপাতাল
  • মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
  • কমিউনিটি ক্লিনিক
  • ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র
  • অন্যান্য হাসপাতাল/ ক্লিনিক
  • স্যাটেলাইট ক্লিনিক
প্রসব পরিকল্পনা এবং মা ও নবজাতকের তাৎক্ষণিক পরিচর্যা ও জরুরী ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা কি?

মা এবং নবজাতকের সুস্থতা নিশ্চিত করতে প্রসব পরিকল্পনা এবং মা ও নবজাতকের তাৎক্ষণিক পরিচর্যা ও জরুরী ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

  • প্রসবকালীন সময়ে করণীয় সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে
  • প্রসুতী ও নবজাতকের তাৎক্ষণিক পরিচর্যা ও জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্তুতি নিতে
  • প্রসবকালীন যে কোন জটিলতা থেকে মা এবং নবজাতককে রক্ষা করতে
  • স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে
  • নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে
জন্মের সাথে সাথে বুকের দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা কি?

জন্মের সাথে সাথে অবশ্যই ১ ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। শাল দুধে অধিক পরিমানে অ্যান্টিবডি থাকে যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। অন্য কোন খাবার দেয়া, এমনকি এক ফোঁটা পানি খাওয়ানোরও প্রয়োজন নাই। জন্মের পর পর শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মা’কে যথাযথ সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।

৭.১% ক্লোরহেক্সিডিন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে?
  • ৭.১% ক্লোরহেক্সিডিন দ্রবণ ব্যবহারের আগে ও পরে হাত ভালো করে সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে
  • ক্লোরহেক্সিডিন এর ড্রপার বোতল (১০ মি.লি) চেপে সলিউশনটি নবজাতকের জন্মের পরপর কাটা নাড়ীর অগ্রভাগ, চারপাশ ও গোড়ায় এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন সম্পূর্ণ নাড়ীটি ভালভাবে ভিজে যায়
  • নাড়ী কাটার পরপরই ক্লোরহেক্সিডিন ব্যবহার করতে হবে। যদি তা না হয়, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, অবশ্যই জন্মের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে
  • একবার ক্লোরহেক্সিডিন লাগানোর পর নাড়ীতে আর কিছুই না লাগিয়ে নাড়ী শুষ্ক রাখতে হবে
  • স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসব হলে- স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী নাড়ী কাটার পর শুধুমাত্র একবার নাড়ীতে ৭.১% ক্লোরহেক্সিডিন প্রয়োগ করবেন
  • বাড়ীতে প্রসব হলে- উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মী বা পরিবারের কোন সদস্য নবজাতকের নাড়ীতে ৭.১% ক্লোরহেক্সিডিন প্রয়োগ করবেন। ৭ মাস পূর্ণ হয়েছে এমন গর্ভবতী মায়েদের বাড়ী পরিদর্শনের সময় প্রসবপূর্ব সেবা দেয়ার সময় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীগণ ৭.১% ক্লোরহেক্সিডিন ড্রপার বোতল মা’কে দিবেন এবং ক্লোরহেক্সিডিন ব্যবহারবিধি সম্পর্কে মা’কে অবহিত করবেন।
  • সকল সরকারী হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্যবহার ও বিতরণের জন্য ৭.১% ক্লোরহেক্সিডিন ড্রপার বোতল সরবরাহ করা হয়।
নবজাতকের বিপদচিহ্ন গুলো কি কি?

জন্মের প্রথম ২৮ দিন পর্যন্ত নবজাতকের যে কোন শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি খুব বেশী থাকে। নবজাতকের মারাত্মক অসুস্থতার উপসর্গকেই বিপদচিহ্ন বলে। নবজাতকের বিপদ চিহ্নগুলো হচেছ:

  • মায়ের দুধ খেতে না পারা বা না চোষা
  • খিঁচুনি
  • শান্ত অবস্থায় দ্রুত শ্বাস (মিনিটে ৬০ বার বা তার চেয়ে বেশি বার শ্বাস নেওয়া)
  • বুকের খাঁচার নিচের অংশ মারাত্মকভাবে দেবে যাওয়া
  • শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া বা জ্বর (৩৭.৫ ডিগ্রি সে. বা ৯৯.৫ ডিগ্রি ফা. এর বেশী)
  • শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া (৩৫.৫ ডিগ্রি সে. বা ৯৫.৯ ডিগ্রি ফা. এর কম)
  • নেতিয়ে পড়া বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম নড়াচড়া করা ( উদ্দীপ্ত করা ব্যতীত শিশু নড়াচড়া করে না অথবা একেবারেই নড়াচড়া করে না)
  • নাভী পাকা ও চারপাশ লালবর্ণ ধারণ
গর্ভবতী মায়ের বিপদচিহ্ন গুলো কি কি?

গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং প্রসব পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি গর্ভবতী মা বিপদের ঝুঁকিতে থাকেন। প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী মায়ের বিপদ চিহ্নগুলো হচেছ:

  • ব্যথাসহ বা ব্যথা ছাড়া যে কোন ধরনের প্রসব পূর্ব রক্তস্রাব অথবা প্রসবের সময় বা প্রসবের পর খুব বেশি রক্তস্রাব, গর্ভফুল না পড়া
  • প্রসবপূর্ব, প্রসবকলে ও প্রসবের পরে শরীরে পানি আসা, খুব বেশি মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা
  • প্রসবপূর্ব বা প্রসব পরবর্তী সময়ে ৩ দিনের বেশি জ¦র বা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব
  • প্রসব ব্যথা ১২ ঘন্টার বেশি থাকা, প্রসবের সময় বাচ্চার মাথা ছাড়া অন্য অঙ্গ প্রথমে বের হওয়া
  • প্রসবপূর্ব, প্রসবের সময় বা প্রসবের পরে খিঁচুনী

এ সকল বিপদচিপহ্নের যেকোন একটি দেখা দিলে দ্রুত যানবাহনের ব্যবস্থা করে কাছের সেবাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

প্রসব পরবর্তী সেবা বলতে কি বুঝায়?

প্রসবের পর থেকে ৬ সপ্তাহ বা ৪২ দিন পর্যন্ত মা ও শিশুর অবস্থা নিরূপন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করাকে প্রসব পরবর্তী সেবা বলা হয়। জন্মের পর পর বিশেষ করে প্রথম তিন দিনের মধ্যে দুইবার প্রসব পরবর্তী সেবা গ্রহন, মা ও নবজাতকের জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসব পরবর্তী সেবা কখন নিতে হবে?

মা ও নবজাতককে ৪ বার প্রসব পরবর্তী সেবা নেয়া প্রয়োজন

  • প্রথমঃ জন্মের প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে
  • দ্বিতীয়ঃ জন্মের ২-৩ দিনে
  • তৃতীয়ঃ জন্মের ৭-১৪ দিনে
  • চতুর্থঃ জন্মের ৬ সপ্তাহে
ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার বা কেএমসি সেবা বলতে কি বুঝায়?

কম ওজনের বা অপরিনত নবজাতককে মায়ের ত্বকের স্পর্শে রেখে, তাকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানো, উষ্ণতা বজায় রাখা ও জীবাণুর সংক্রমন প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষ পরিচর্যা হচ্ছে ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (কেএমসি)। শিশুকে মায়ের বা পরিবারের অন্য কারো বুকের ত্বকের সাথে লাগিয়ে রেখে ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার বা কেএমসি সেবা দিতে হয়। এ সময় শিশুকে নিয়মিত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। কেএমসি প্রদান করলে শিশুর সংক্রমন প্রতিরোধ করা যায়।

ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) সেবা কোন কোন শিশুদের দিতে হবে?

সাধারণত শারীরিকভাবে স্থিতিশীল শিশু যাদের জন্ম ওজন ১৮০০ গ্রাম থেকে ২০০০ গ্রাম, তাদের ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) সেবা দিতে হবে।

  • এই পরিচর্যায় শিশুকে মায়ের দুই স্তনের মাঝে রাখা হয়। এর ফলে শিশুর সঠিক তাপমাত্রা বজায় থাকে, মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো সহজ হয়, শিশুর সংμমণ প্রতিরোধ করে এবং মা ও শিশুর মাঝে বন্ধন নিবিড় হয়।
প্রতিদিন কতক্ষণ কেএমসি চালিয়ে যেতে হবে?

দিন-রাত্রি সবসময় (কমপক্ষে ২০ ঘন্টা) কেএমসি চালিয়ে যাওয়া উচিত। বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও কেএমসি সেবা দিতে পারেন।

    নবজাতকের মৃত্যু বলতে কি বুঝায়?

    জন্মের পর ২৮ দিন পর্যন্ত শিশুকে নবজাতক বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে শিশুর মৃত্যু হলে তাকে নবজাতকের মৃত্যু বলা হয়।

    নবজাতকের অত্যাবশকীয় সেবা সমুহ কি কি?
    • জন্মের সাথেসাথে পরিষ্কার ও নরম শুকনো কাপড় দিয়ে মোছানো
    • জীবাণুমুক্ত উপায়ে নাড়ী কেটে ও বেঁধে একবার ক্লোরহেক্সিডিন লাগানো
    • মোছানোর সাথে সাথে মায়ের ত্বকে ত্বক স্পর্শ রাখা এবং পরবর্তীতে মাথা ও শরীর কাপড়ে জড়িয়ে উষ্ণ রাখা।
    • জন্মের সাথে সাথে অবশ্যই ১ ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ানো।
    • জন্মের তিন দিনের মধ্যে কোনভাবেই শিশুকে গোসল করানো যাবেনা।
    গর্ভকালীন সেবা কতবার নেয়া প্রয়োজন?

    গর্ভবতী মায়ের কমপক্ষে ৪ বার গর্ভকালীন সেবা নেয়া প্রয়োজন।

    গর্ভকালীন চেকআপ কখন নিতে হবে?
    • ১মঃ ৪ মাসের মধ্যে (১৬ সপ্তাহ)
    • ২য়ঃ ৬-৭ মাসে (২৪-২৮ সপ্তাহ)
    • ৩য়ঃ ৮ মাসে (৩২ সপ্তাহ)
    • ৪র্থঃ ৯ মাসে (৩৬-৩৮ সপ্তাহ)
    গর্ভকালীন চেকআপের সময় কি কি দেখা হয়?
    • গর্ভকালীন ইতিহাস
    • প্রসবপূর্ব শারীরিক পরীক্ষা
    • ল্যাবরেটরী পরীক্ষাঃ রক্ত ও প্রসাব পরীক্ষা
    • ঝুঁকি বা বিপদ চিহ্ন শনাক্ত করা
    • স্বাস্থ্য-শিক্ষা, পরামর্শ এবং কাউন্সেলিং
    • তথ্য রেকর্ড করা
    প্রসব পরিকল্পনা এবং মা ও নবজাতকের তাৎক্ষণিক পরিচর্যা ও জরুরী ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে?
    • প্রসবের স্থান (হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র) বা বাড়ীতে প্রসবের ক্ষেত্রে দক্ষ প্রসবসেবা প্রদানকারী এবং সাহায্যকারী নির্বাচন
    • প্রসবের প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা
    • গর্ভবতীর পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে নবজাতকের তাৎক্ষণিক পরিচর্যাকারী নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় সেবা সম্পর্কে অবহিত হওয়া
    • মা ও নবজাতকের বিপদচিহ্ন সম্পর্কে অবহিত হওয়া এবং জরুরী পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য সেবাদানকেন্দ্র নির্বাচন
    • ডেলিভারীর জন্য বা জরুরী প্রয়োজনে যানবাহনের ব্যবস্থা
    • স্বাস্থ্যকেন্দ্রে/হাসপাতালে যাওয়ার সঙ্গী নির্বাচন
    • রক্তের গ্রুপ জানা ও রক্তদাতা নির্বাচন
    • প্রয়োজনীয় অর্থের সঞ্চয়
    নবজাতকের নাড়ীর সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্য কি করতে হবে?

    জীবাণুমুক্ত সুতা ও বেøড দিয়ে নাড়ী বাঁধা ও কাটার পরপরই নাভীর কাটা অংশে ৭.১% ক্লোরহেক্সিডিন দ্রবণ লাগাতে হবে। ৭.১% ক্লোরহেক্সিডিন হচ্ছে একটি অত্যন্ত নিরাপদ ও কার্যকর এন্টিসেপটিক যা নবজাতকের নাড়ীর যত্নে ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে নাভী উন্মুক্ত রেখে নাড়ীতে আর কোন কিছুই লাগানো যাবে না।

    নবজাতককে উষ্ণ রাখা কেন জরুরী?

    শিশু জন্মের পরপর দ্রুত তাপ হারাতে থাকে। ফলে শিশুর তাপমাত্রা কমে যায়। তাই নবজাতককে জন্মের পর পরই উষ্ণ রাখা প্রয়োজন। এজন্য যা করণীয়ঃ

    • জন্মের পরপরই একটি পরিস্কার ও শুকনো নরমসুতি কাপড় দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নবজাতককে মুছে শুষ্ক করে, ভেজা কাপড় সরিয়ে আরেকটি পরিস্কার শুকনা কাপড়/কম্বল দিয়ে মা ও শিশুকে ঢেকে দিতে হবে
    • নবজাতকের মাথা টুপি/কাপড় দিয়ে ঢেকে তাকে মায়ের বুকে ত্বকে-ত্বক সংস্পর্শে রাখতে হবে
    • নবজাতককে জন্মের অন্ততঃ ৩ দিনের মধ্যে গোসল করানো যাবে না
    নবজাতকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সেবাপ্রদানকারীর হাত ধোয়া কেন জরুরী?

    নবজাতককে প্রতিবার সেবা প্রদানের পূর্বে, বুকের দুধ খাওয়ানো ও স্পর্শের পূর্বে এবং মলমূত্র পরিস্কারের পরে অবশ্যই সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। বাড়ীতে নবজাতকের সেবাপ্রদানকারী অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নিয়ম মেনে হাত ধুবেন।

    নবজাতকের বিপদ চিহ্নসমূহ দেখলে করণীয় গুলো কি কি?
    • নবজাতকের উল্লেখিত যেকোন একটি বিপদচিহ্ন থাকলে নবজাতকের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে
    • ২০০০ গ্রামের কম জন্ম-ওজনের নবজাতককে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে
    নবজাতকের বিপদ চিহ্নসমূহ দেখা দিলে করনীয় কি?
    • জন্মের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পরিবার কল্যাণ সহকারী বাড়ী পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রসব পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করবে
    • জন্মের ৭-১৪ দিনের মধ্যে প্রসব পরবর্তী সেবা গ্রহনের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক বা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র অথবা উচ্চতর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবার জন্য কাউন্সেলিং করতে হবে
    • জন্মের ৬ সপ্তাহে প্রসব পরবর্তী সেবা গ্রহণের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক বা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র অথবা উচ্চতর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবার জন্য কাউন্সেলিং করতে হবে
    প্রসব পরবর্তী সেবার গুরুত্ব কি?

    প্রসব পরবর্তী মা ও নবজাতকের অকাল মৃত্যুর অধিকাংশই যথাযথ প্রসব পরবর্তী সেবা গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

    • নবজাতকের মৃত্যুর ৫০ শতাংশই ঘটে জন্মের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আর প্রায় ৭৫ শতাংশ ঘটে জন্মের সাত দিনের মধ্যে
    • মাতৃমৃত্যুর বেশীর ভাগই ঘটে প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, খিঁচুনী, সংক্রমণ ইত্যাদি কারনে। বেশির ভাগ মাতৃমৃত্যু প্রসব পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটে থাকে।

    তাই মা ও নবজাতকের জীবন রক্ষায় প্রসব পরবর্তী সেবা গ্রহণ করা জরুরী।

    প্রসব পরবর্তী সেবা কোথায় পাওয়া যাবে?
    • উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
    • জেলা হাসপাতাল
    • মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
    • ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র
    • কমিউনিটি ক্লিনিক
    • মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
    • স্যাটেলাইট ক্লিনিক
    • এনজিও ক্লিনিক/ হাসপাতাল
    কতদিন পর্যন্ত শিশুকে কেএমসি দিতে হবে?

    শিশুর ওজন ২৫০০ গ্রাম হলে বা মোট গর্ভকাল ৪০ সপ্তাহ পূর্ণ হলে শিশুকে কেএমসি দেয়া বন্ধ করা যেতে পারে।

    আমরা যা করি

    গর্ভকালীন পরিচর্যা
    নবজাতকের অত্যাবাসকীয় সেবা  প্রসব পরবর্তী সেবা
    কেএমসি সেবা 
    স্ক্যানু/ এনএসইউ সেবা
    আইএমসিআই সেবা
    প্রশিক্ষণ
    ওষুধ ও যন্ত্রপাতি
    এসবিসিসি কার্যক্রম
    শিশু পুষ্টি, চক্ষু সেবা ও অন্যান্য      মুদ্রন কার্যক্রম

    পরামর্শ ও অভিযোগ

    Copyright 2020 By NNHP, Developed By VMSL

      Copyright 2020 By NNHP, Developed By VMSL